তাকবিরে তাশরিক
আল্লাহ তাআলার প্রিয় বাক্যগুলোর একটি হলো তাকবির ধ্বনি— আল্লাহু আকবার।
তাকবির মধুর এক ধ্বনি! হৃদয়ে প্রশান্তি আনে। অপরাজেয় শক্তি যেন মিশে আছে এ শব্দের মাঝে। এ শব্দ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার বড়ত্ব-শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে।
জিলহজ মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল তাকবিরে তাশরিক। তাশরিকের দিনগুলোতে যে তাকবির পড়া হয় তাকেই তাকবিরে তাশরিক বলে। এ দিনগুলোতে তাকবির পড়াই সর্বোত্তম আমল। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই দিনগুলোতে তাকবিরে তাশরিকের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়ে জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।
সহিহ বুখারি: ৯৬৯
৯ জিলহজ ফজরের নামাজ হতে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্তের সময়কে তাশরিকের দিন ধরা হয়। এই ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর কোনো কথা বা সুন্নত নামাজ না পড়ে একবার করে তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব।
সাহাবী ও সালাফগণ জিলহজের প্রথম দশক শুরু হলেই তাকবির পড়তেন। ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহুমা জিলহজের প্রথম দশকে তাকবির পাঠ করতে-করতে বাজারে যেতেন। তাদের তাকবির শুনে লোকেরাও তাকবির পাঠ করত।
ফতহুল বারী, ইবনে হাজার আসকালানী, খ : ২, পৃ : ৪৬২
সর্বাধিক প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে তাকবিরে তাশরিকের শব্দমালা হলো—‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’
অর্থ : ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নাই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান এবং আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা।’