হেরাগুহায় কুরআন নাযিল
মক্কা থেকে দুই মাইল দূরে গভীর নিস্তব্ধতার ভেতর পরম সৌভাগ্যের সুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হেরা গুহা। কুরআনের আলোয় আলোকিত এ গুহায় ধ্যানমগ্ন হতেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । নবুয়ত লাভের প্রায় তিন বছর আগ থেকে তিনি এ গুহায় নির্জনতাকে গ্রহণ করেছিলেন। এ গুহায় ইবাদত করতেন এবং গভীরে ধ্যানে নিবিষ্ট হতেন।
একদিন এক আলোর ঝলকানিতে তাঁর ধ্যানভগ্ন হয়। আসমানি বার্তাবাহক ফেরেশতা জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এসে তাঁকে বললেন, ‘পাঠ করুন’। আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি পড়তে জানি না। ফেরেশতা তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো জড়িয়ে ধরে খুব জোরে চাপ দিলেন। তাঁর খুব কষ্ট হলো। এভাবে তিনবার আলিঙ্গনের পর তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বললেন,
‘পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্তপিণ্ড থেকে, পাঠ করুন, আর আপনার প্রতিপালক অতিশয় দয়ালু।’
(সুরা আলাক, আয়াত : ১-৩)
এভাবেই পবিত্র কুরআন নাযিল আরম্ভ হয়। মহিমান্বিত এ রমাদান মাসেরই এক রজনীতে মানবতার মুক্তিরপত্র ও জান্নাতের চাবিকাঠি সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব কুরআনকে প্রথম আসমান থেকে পৃথিবীর বুকে নাজিল হয়েছিল।
আসুন কুরআন নাযিলের মাসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করি। কুরআনের অর্থ বুঝার চেষ্টা ও সাধনা করি। গভীর উপলব্ধিতে হৃদয়ের গহিনে কুরআনের মর্মার্থ ধারণ করি। দৈনন্দিন কর্মে কুরআনি ভাবধারা গ্রহণ করি।