জিলহজ্ব

আরাফার দিনের ফজিলত

জিলহজ্জ মাসের মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন আরাফা দিবস । জিলহজ্জ মাসের নবম তারিখকে আরাফা দিবস বলা হয়ে থাকে। এ দিনে মুসলমানদের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তাঁর দ্বীন ও নেয়ামত পরিপূর্ণ করেছন। ইহুদিরা ওমর রাদিআল্লাহু আনহুকে বলল, আপনারা একটি আয়াত পড়েন, যদি তা আমাদের ওপর নাযিল হতো তাহলে এ দিবসে আমরা উৎসব পালন করতাম। ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বললেন, আমি অবশ্যই জানি কী উদ্দেশ্যে ও কোথায় তা নাযিল হয়েছে, এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ছিলেন যখন তা নাযিল হলো। (তা ছিল) আরাফা দিবস। আর আমরা-আল্লাহর কসম- আরাফার ময়দানে। সুফয়ান বলেন, দিনটি জুমাবার ছিল কি-না, আমার সন্দেহ আছে। (আয়াতটি ছিল الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ – আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দিনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম)
সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৬০৬

এ দিনে আরাফাতের ময়দানে হাজিগণ হাজির আল্লাহর রহমত অনুসন্ধান করেন। বিগলিতচিত্তে গুনাহ মাফের জন্য কান্নাকাটি করে। আল্লাহ তাআলা তা দেখে ফেরেশতার সাথে গর্ব করেন। তিনি বলেন, আমার বান্দাদের দিকে তাকিয়ে দেখো, তারা আমার কাছে এসেছে এলোথেলো ও ধুলায় আবৃত অবস্থায়।
মুসনাদে আহমদ, খ : ২, পৃ : ২২৪

এ দিন মুসলিমদের জন্য ক্ষমা ও মুক্তির দিন। এ দিনে রোজা পালন দু’বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গণ্য হয়। এদিনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তাঁর অনেক বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আয়িশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আরাফা দিবস থেকে অধিক অন্য কোনো দিন আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন না। তিনি এ দিনে নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সম্মুখে গর্ব করে বলেন ‘‘তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দারা আমার কাছে কি চায়?’’
সহিহ মুসলিম : ১৩৪৮

আবু কাতাদাহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আরাফা দিবসের রোজা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে বলে আল্লাহর প্রতি আমার আশা।’’
সহিহ মুসলিম : ১১৬২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *