

সময় গড়াচ্ছে প্রকৃতির নিয়মে। কিছুক্ষণ পুলিশের সাথে ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলল। আমার সামনেই দুতিনজন গুলি খেয়ে পড়ে গেলেন। সামনে যাবার জন্য দৌড় দিলাম। ততক্ষণে অনেক আন্দোলনকারী একে অপরকে ধরে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেলেন। দুএকজন ছররা গুলি খেয়েও কী রকম স্থির দাঁড়িয়ে আছেন! কঠিন ইস্পাতের ন্যায় তাঁদের মনোবল। মাঠ ছেড়ে যাবেন না। মুগ্ধ বিস্ময়ে চেয়ে রইলাম। পুলিশের ফাঁকা আওয়াজও কী ভীষণ শব্দের। হৃৎপিণ্ড পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কেঁপে উঠি।
এরকম যখন অবস্থা তখন কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাত্রলীগ ক্যাডাররা শাহবাগ থেকে দল বেঁধে হামলা চালাল আমাদের ওপর। একদিকে পুলিশ অন্যদিকে ছাত্রলীগ। সন্ধ্যার এ সময়ে আন্দোলনকারী অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দিগ্বিদিক ছুটলাম জীবন ভালোবেসে। কী রকম সন্ত্রস্ত হয়ে আন্দোলনকারীদের ছুটে চলা। একজনের শরীরের ওপর পড়ছেন আরেকজন। সায়েন্সল্যাব যেতে কাঁটাবনের রাস্তার ডান দিকে একটা মার্কেটের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে আশ্রয় নিলাম। এখানে ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপ ঢুকে পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু। মার্কেট থেকে পালানোর আর কোনো পথ নেই।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.